মো: নাহিদ খান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলা বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান, সহদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদ হাসপাতাল থেকে এলাকায় পৌঁছালে তাঁর ভক্ত-অনুসারী, রাজনৈতিক সহকর্মী ও এলাকাবাসী জমায়েত হয়। তিনি এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিষয়টির আশু মীমাংসার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তিনি সহদেবপুর, সাঁকরাইল ও মুলিয়ার জনসাধারণকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি এলাকার দায়িত্বশীল মাতব্বরদের শালিশের জন্য দিন-তারিখ ও স্থান নির্ধারনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন,এটাই যেনো আমাদের শেষ শালিশ হয় ।
উল্লেখ্য, স্থানীয় একটি উরশে মুলিয়া ও সাঁকরাইলের যুবকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। উক্ত মারামারির মীমাংসার শালিশে বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুর মাহমুদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।এতে তিনি মারাত্বক আহত হয়ে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। শুকুর মাহমুদ আহত হবার খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। উত্তাল জনতাকে সামাল দেবার জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মোতায়েন করা হয়। ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। ঘটনার পরদিনও হাজার হাজার জনতা বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঐদিন ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেনাবাহিনীও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সাথে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরবর্তীতে এ খবর পেয়ে আহত শুকুর মাহমুদ হাসপাতালের এম্বুলেন্সে করে এলাকায় চলে আসেন। এম্বুলেন্সে বসেই তিনি বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। তুমুল জনপ্রিয় এ নেতা সুস্থ হয়ে এলাকায় পৌঁছালে জনগণ তাঁকে দেখতে আসেন।পরে তিনি জনতার উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথা বলেন।